Pages

Thursday, February 6, 2014

একটি আমগাছ কতটা জায়গা জুড়ে থাকতে পারে? এশিয়ার সর্ববৃহৎআমগাছ



বালিয়াডাঙ্গী তিন বিঘা জুড়ে বিশাল সূর্য্যাপুরী আমগাছ এখন পিকনিক স্পট


ঠাকুরগাঁয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হরিণমারী মুন্ডুমালা গ্রামে তিন বিঘা জুড়ে সেই বিশাল সূর্য্যাপুরী আমগাছে এখন পিকনিক স্পটে পরিণত হয়েছে। একটি গাছের নিচে একাধিক পিকনিক স্পটের সমাগম ঘটছে। দূর-দূরান্ত থেকে পিকনিক পার্টি আসছে এখানে। পিকনিক সেইসাথে এই ঐতিহাসিক বিশাল আমগাছ দর্শন দু’টোই হচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন আমগাছের নীচে বনভোজনের আয়োজন করে। সেখানে মুণ্ডুমালা ফাঁড়ির বিজিবির  সদস্যরা নিরাপত্তা সহযোগিতা করে। এখন প্রায় প্রতিদিন চলছে পিকনিক। ঠাকুরগাঁও জেলা যে আমটির জন্য বিখ্যাত তার নাম সূর্য্যাপুরী। চমৎকার স্বাদ ও গন্ধ, সুমিষ্ট এবং ছোট আটিবিশিষ্ট আমটির স্বাদ যিনি একবার পেয়েছেন, তিনিই বারবার ছুটে এসেছেন উত্তরের এই শান্ত জনপদে। তবে এ আমের চেয়েও আজ বেশি বিখ্যাত হয়ে আছে আমগাছ। সূর্যপূরী আমের গাছ রয়েছে দু’বিঘা জমি জুড়ে। প্রায় দু’শ বছরের ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী সীমান্ত এলাকার মণ্ডুমালা গ্রামের এই আমগাছ। ২০ হাত বেড়ে ও ৫০/৬০হাত উচ্চতাবিশিষ্ট এই প্রবীণ গাছটির চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে বিস্তৃত ডালপালা। প্রতিটি ডালের দৈর্ঘ্য ৪০/৫০ হাত। বিরাট জায়গা জুড়ে জবুথবু হয়ে বসে থাকা গাছটিকে দেখলে মনে হয় সারি সারি আমগাছ জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে আছে। দূর থেকে গাছটিকে একটি আম বাগান বলেও মনে হয়। কখনও মনে হয় গাঢ় সবুজ টিলায় সেজেছে হরিণমারীর প্রকৃতি। কাছে গেলে দেখা যায় পাহাড়ের মত দাড়িয়ে আছে একটি মাত্র আমগাছ। আমগাছে চারিপার্শ্বে টিন দিয়ে ঘেরানো হয়েছে । জমির মালিক বাৎসরিক ইজারা দিয়েছেন । আম গাছে এবার বেশী ফলন হয়নি। আশাতীত আমের ফলন না হওয়ায় ইজারাদার এক রকম নাখোশ হয়েছেন। কারন তার এবছরে শেষ চুক্তি। কিছু কিছু আম অতি গরমের জন্য ঝড়ে যাচ্ছে। তবে ঐ গাছের আমের দাম এবার চড়া হবে। গত বছর আমের মূল্য ছিলো প্রতি কেজি ১০০টাকা। আমগাছ দেখতে হলে প্রবেশ ফ্রি ১০ টাকার বিনিময়ে আমগাছ দর্শন করা যাবে। প্রতিদিন শতশত দর্শনাথী আসছেন। শুক্রবার প্রায় সহস্রাধিক দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে। সরকারের সহযোগীতা পেলে হরিণমারীর ঐতিহ্যবাহী শত বছরের আম গাছটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে  উঠবে। এতে দেশ বিদেশের পর্যটকদের আগমনে মুখরিত হবে বালিয়াডাঙ্গী শান্ত জনপদ।  ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগে আমগাছটির এলাকায় ইট দিয়ে বিছানো একটি রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। রাস্তাটি কার্পেটিং না থাকায় মোটরসাইকেল, মাইক্রো, কার সহ বিভিন্ন পরিবহনের চলাচলের ব্যঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। কোন কোন সময় দূর্ঘটনার সম্মুূক্ষীণ হতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের।


No comments:

Post a Comment